এবিএনএ : শরীরের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে চাই ব্যালেন্স ডায়েট। তবে অনেকেই আবার ওজন দ্রুত কমাতে অনুসরণ করেন নিম্নমানের ডায়েট চার্ট। এতে ওজন কমলেও শরীরের বেশ কিছু অঙ্গের ক্ষতি হয় ব্যাপক। দেখা দেয় যৌন অক্ষমতা। যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য কোন প্রকার ওষুধের প্রয়োজন নেই, তার জন্য দৈনন্দিন পুষ্টিকর খাবারদাবারই যথেষ্ট। আর তাই প্রতিদিন ডায়েট চার্টে রাখুন কিছু ফল-সবজি যা আপনার লিঙ্গের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখবে। জানেন কি, এমনই কয়েকটি খাদ্যের মধ্যে রয়েছে সেই আশ্চর্যজনক উপাদান! যা আপনার হারিয়ে যাওয়া সেক্স ড্রাইভ পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করতে পারে।আসুন চিনে নিই সহজলভ্য সেসব খাবার…]
আপেল- ‘প্রতিদিন একটি আপেল’ আপনার লিঙ্গ সুস্থ ও নিরাপদ রাখবে। এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আপেল জননাঙ্গে রক্ত সরবরাহ বাড়ায় এবং যৌন চাহিদা তীব্র করে। আপেলে ভিটামিন ‘এ’ ও ভিটামিন ‘বি১’ আছে যা লিঙ্গের আশেপাশে টিউমার হওয়া প্রতিরোধ করে।
কলা- পুষ্টি ও স্বাদের দিক থেকে ফলের মধ্যে কলা পছন্দ করে সবাই। কলা শুধু পুষ্টি বাড়ায় না, যৌন ইচ্ছা তীব্র করতেও কাজে দেয়। এতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে যা যৌন মিলনের বাড়তি শক্তি যোগায়। কলায় রয়েছে একটি বিশেষ এনজাইম ব্রোমেলিয়ান, যা শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে পুরুষের যৌন দুর্বলতা রোধ করতে সহায়ক।
দুধ- যেসব খাবারে বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এমন প্রাকৃতিক খাদ্য আপনার যৌনজীবনের উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি শরীরে সেক্স হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে সবগুলোকে হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।
মধু- যৌন দুর্বলতার সমাধানের মধুর গুণের কথা সবারই কম-বেশি জানা। তাই যৌন শক্তি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩/৪ দিন ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে পান করুন।
রসুন- যৌন সমস্যা থাকলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। স্মরণাতীতকাল থেকেই নারী পুরুষ উভয়েরই যৌন উদ্দীপনা বাড়াতে এবং জননাঙ্গকে পূর্ণ সক্রিয় রাখতে রসুনের পুষ্টিগুণের কার্যকারিতা সর্বজনস্বীকৃত। রসুনে রয়েছে এলিসিন নামের উপাদান যা যৌন ইন্দ্রিয়গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়।
কফি- কফি আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা আপনার যৌনতার মুড কার্যকর রাখে।
বিট- প্রাকৃতিক উপায়ে জননাঙ্গের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে প্রতিদিন সালাদের সঙ্গে বিট খান। বিটে প্রচুর পরিমানে নাইট্রেট থাকে যা পুরুষাঙ্গের রক্তনালীগুলো প্রসারিত করে। এতে রক্তের সঙ্গে বিশুদ্ধ অক্সিজেন জননাঙ্গে প্রবেশ করায় যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়।
ব্রকোলি- অনেকেই সবজি হিসেবে ব্রকোলি অপছন্দ করেন। ব্রকোলিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি থাকায় জননাঙ্গে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। প্রতিদিন খাবারে ঠিকঠাক ভিটামিন সি-এর উপস্থিতি শরীরে বয়ে চলা রক্তস্রোতের অবিচলিত ধারা বজায় রাখে। বিশেষ মুহূর্তে বিশেষ অঙ্গে রক্তস্রোতের অবাধ প্রবাহ বহাল রাখতে ব্রকোলির শরণাপন্ন হোন।
গাঁজর- গাঁজরে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি বিদ্যমান। এতে ভিটামিন ‘এ’ আছে যা পুরুষদের হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সালাদে গাঁজর খেলে সু-স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সুস্থ্য সবল থাকবে যৌনাঙ্গও।
বাদাম- স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বাদাম খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি বিদ্যমান যা বিষণ্ণতার মতো পরিস্থিতি থেকে খুব সহজেই পরিত্রাণ দেয়। এছাড়া বাদামে জিঙ্ক থাকায় শুক্রাণুর পরিমাণ তুলনামূলক হারে বৃদ্ধি পায়। প্রজনন ক্ষমতা ও যৌনাঙ্গের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য ডাক্তাররা বাদাম খেতে পরামর্শ দেন।
চেরি- চেরি ফল পেস্ট্রি কেকের মধ্যেই ভালো লাগে বেশি। তবে ডায়েটে চেরি খাওয়ার উপকারিতা এড়িয়ে যাওয়ার মতো নয়। চেরিতে প্রচুর অ্যান্থোসায়ানিন থাকায় ধমনীতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। প্রতিদিন চেরি খাওয়াতে পুরুষদের যৌনাঙ্গের স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
মুরগীর মাংস– ডায়েটে চর্বি ছাড়া মুরগীর মাংস রাখা মানেই সুস্বাস্থ্যের দিকে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। এতে শরীরে পেশির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত চর্বি কমে যায়, শক্তি বৃদ্ধি পায়। মুরগীর মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন উপস্থিত। এতে শরীরে অন্যান্য অঙ্গের ন্যায় পুরুষদের যৌনাঙ্গে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে।